প্রধানমন্ত্রী কি যাচ্ছেন স্বাধীনতার স্মৃতিবিজরিত পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ দূতাবাসে?
খন্দকার জিয়াউদ্দিন আহমেদ :: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার থেকে দুই দিনের সরকারি সফরে কলকাতায় অবস্থান করছেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডিলিট) গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন। এরপর সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় অবস্থান এর বিষয়টিতে যোগ আরও একটি নতুন মাত্রা, একটি কৌতুহল। বিদেশী মিশনগুলোর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন হল সর্ব প্রথম বিদশেী মিশন যেখানে সর্বপ্রথম বাংলাদেশী পতাকা উড়ানো হয়।চলমান সফরে প্রধানমন্ত্রী কি যাচ্ছেন কলকাতার সেই বাড়িটিতে?
১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তৎকালীন ডেপুটি হাইকমিশনার এম হোসেন অালী ৬৫ জন বাঙালী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সদলবলে প্রবাসী সরকার তথা মুজিব নগর সরকারের প্রতি প্রকাশ্যে পূ্র্ণ অানুগত্য প্রদর্শন করেন । তিনি পাকিস্তানি মিশনের শীর্ষে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।ফলে মূহূর্তের মধ্যেই পাকিস্তান দূতাবাস পরিণত হয় বাংলাদেশ মিশনে। পাকিস্তান দূতাবাসের নাম বদলে সেখানে ‘বাংলাদেশ কূটনেতিক মিশন’ এর নাম ফলক উন্মোচন করা হয়। নবগঠিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের কেন্দ্রীয় হলরুম থেকে জিন্নাহর ছবি সরিয়ে ফেলে সেখানে টাঙ্গানো হয় রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছবি। স্বাধীনতা সংগ্রামে এটা ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা যা বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। তারপর তথায় তিনি ‘বাংলাদেশ কূটনৈতীক মিশন’ স্হাপন করেন। যার ফলে বাংলাদেশ সরকার একটি তৈরী সচিবালয় পেয়ে যায়। তারপর জনাব এম হোসেন অালী মিশন প্রধান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস বহিরবিশ্বের সাথে কূটনৈতীক তৎপড়তা চালিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্ব জনমত গঠণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এম. হোসেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন -এর মহাসচিব এম. হাবিবুল্লাহ হাবিবের সাথে প্রধানমন্ত্রীর শান্তিনিকেতন সফরের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি জানান, শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশী ভবন’ উদ্বোধন হওয়ায় আমরা ভীষন গর্ববোধ করছি একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে অামি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ মিশন ভবনটি পরিদর্শন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা বাঙালী কূটনীতিক এম হোসেন অালীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য উদাত্ত অাহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোড়াসাকোর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। পরে হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচ ডিলিট ডিগ্রি দেবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণের পর মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক দেবেন। অনুষ্ঠানে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিক্ষামন্ত্রী বক্তৃতা করবেন। এরপর তিনি কলকাতায় ফিরে নেতাজী সুবাস বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থান কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন।যেখানে সর্বপ্রথম ওরে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তৎকালীন ডেপুটি হাইকমিশনার এম হোসেন অালী ৬৫ জন বাঙালী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সদলবলে প্রবাসী সরকার তথা মুজিব নগর সরকারের প্রতি প্রকাশ্যে পূ্র্ণ অানুগত্য প্রদর্শন করেন । তিনি পাকিস্তানি মিশনের শীর্ষে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।তারপর তথায় তিনি 'বাংলাদেশ কূটনৈতীক মিশন' স্হাপন করেন। যার ফলে বাংলাদেশ সরকার একটি তৈরী সচিবালয় পেয়ে যায়। তারপর জনাব এম হোসেন অালী মিশন প্রধান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস বহিরবিশ্বের সাথে কূটনৈতীক তৎপড়তা চালিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্ব জনমত গঠণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা সফরে রয়েছেন। অামি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ মিশন ভবনটি পরিদর্শন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা বাঙালী কূটনীতিক এম হোসেন অালীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য উদাত্ত অাহ্বান জানাচ্ছি।
Posted by Habibullah Habib on Friday, May 25, 2018