এদেশে না এলেও ফুটবল জাদুতে জয় করেছেন কোটি হৃদয়
currentnews
একাধিকবার ডিয়েগো ম্যারাডোনার বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত হয়নি আসা। দুবার তিনি বাংলাদেশের খুব কাছ দিয়ে ঘুরে গেছেন। ২০০৮ আর ২০১৭ সালে দুবার এসেছিলেন কলকাতায়। এদেশে ম্যারাডোনার পা না পড়লেও তিনিই ছিলেন বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার।
ম্যারাডোনা কখনো বাংলাদেশে আসেননি। কিন্তু তিনিই এই ভূখণ্ডের জনপ্রিয়তম ফুটবলার। হালের মেসি-রোনালদো নিয়ে মাতামাতি থাকতে পারে। কিন্তু হৃদয় দিয়ে বাঙালি যদি কোনো ফুটবলারকে ভালবেসেন থাকেন, তিনি আর কেউ নন, ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। এই যে আজ আর্জেন্টিনার এত সমর্থক, তার নেপথ্যে একজনই। সেই তিনিই হয়ে গেলেন অতীতকাল। ফুটবল হারালো এক পাগলাটে চরিত্র।
ম্যারাডোনা বাংলাদেশে না এলেও খুব কাছাকাছি ঘুরে গেছেন দুবার। ২০০৮ আর ২০১৭ সালে এসেছিলেন কলকাতায়। প্রথমবার যে ফুটবল ক্লিনিকের উদ্বোধন করেছিলেন, পরেরবারও সেখানে গিয়ে সময় কাটান ক্ষুদে ফুটবলারদের সঙ্গে। কলকাতা থেকেই আসতে পারতেন লাল সবুজের দেশে। খবরও ছড়িয়েছিল, কিন্তু ম্যারাডোনার আর আসা হয়নি। একইভাবে ২০১৯ সালে বাফুফেও ঘোষণা করেছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আসবেন ম্যারাডোনা। বাংলাদেশের মানুষের আর দেখা হলো না সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে।
এদেশের মানুষ যে ম্যারাডোনাকে কতটা ভালবাসেন তার প্রমাণ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ম্যারাডোনা ছিলেন একান্ত আপনজন। যেন পাশে বাড়ির মানুষ। ৬০ বছর বয়সে তার বিদায় যেন কোনভাবেই মেনে নেয়ার নয়।
মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় দলের ফুটবলাররাও। ম্যাচ খেলতে কাতার থাকা দলও জানিয়েছে শোক।
লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ম্যারাডোনা। সবাই চলে যায়। যেতে দিতে হয়। কিন্তু রয়ে যায় স্মৃতি। ম্যারাডোনা ফুটবলকে দিয়ে গেছেন এমন কিছু স্মৃতি যা কখনো পুরোনো হবে না। বিদায় ফুটবল ঈশ্বর।